রিটার্ন ফরম ব্যবসায়ী করদাতার রিটার্ন ফরম পূরণ Estimated reading: 1 minute 9 views Contributors এই অংশে কেবলমাত্র ব্যবসায়ী করদাতার জন্য ‘আইটি-১১গ (২০২৩)’ রিটার্ন ফরম পূরণের প্রক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। ব্যবসায়ী করদাতারা কীভাবে আয়, ব্যয় এবং সম্পদের বিবরণ প্রদান করবেন, তার বিস্তারিত বিবরণ এখানে পাওয়া যাবে। যদি আপনার আয় অন্যান্য খাত থেকেও হয়ে থাকে, তাহলে পূর্বের অনুচ্ছেদগুলোও পড়ে নিতে পারেন।রিটার্ন ফরমের প্রাথমিক অংশ পূরণপ্রথমে রিটার্ন ফরমের প্রথম পাতায় করদাতার সাধারণ তথ্য পূরণ করতে হবে। এখানে আপনার নাম, টিআইএন, ব্যবসার নাম এবং ব্যবসার ধরণ উল্লেখ করতে হবে। প্রথম পৃষ্ঠায় আয়কর অফিসের ব্যবহারের জন্য একটি বক্স রয়েছে, যা আপনাকে পূরণ করতে হবে না।আয় এবং ব্যয়ের বিবরণ পূরণব্যবসায়ী করদাতাদের জন্য দুটি আলাদা টেবিল পূরণ করতে হবে। প্রথম টেবিলে আপনার ব্যবসার আয় ও ব্যয়ের বিবরণ দিতে হবে। এর মধ্যে বিক্রয়, গ্রস মুনাফা, সাধারণ এবং প্রশাসনিক খরচ, বিক্রয়জনিত খরচ, অন্যান্য খরচ এবং নিট মুনাফার অংকগুলো একে একে লিখতে হবে।এই তথ্যগুলো পূরণ করার আগে আপনাকে অবশ্যই আয়কর গণনা করে নিতে হবে। একবার আয় ও ব্যয়ের অংকগুলো গণনা করলে, রিটার্ন ফরম পূরণের সময় শুধু সেই অংকগুলো দেখে দেখে লিখে দিতে হবে।ব্যবসার সম্পদ, দায় এবং মূলধনের বিবরণদ্বিতীয় টেবিলে আপনার ব্যবসার সম্পদ, দায় এবং মূলধনের বিবরণ দিতে হবে।নগদ ও ব্যাংক স্থিতি: প্রথমে ৩০ জুন ২০২৪ তারিখে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হাতে নগদ এবং ব্যাংক ব্যালেন্সের পরিমাণ লিখুন। ব্যাংক স্টেটমেন্ট থেকে ব্যাংক ব্যালেন্স নিন এবং আপনার রেজিস্টার থেকে হাতে নগদ পরিমাণ জেনে নিন। এরপর এই দুই অংক যোগ করে মোট নগদ ও ব্যাংক স্থিতি লিখুন। মজুদ পণ্য এবং স্থায়ী সম্পদ: এরপর মজুদ পণ্য, স্থায়ী সম্পদ এবং অন্যান্য সম্পদের পরিমাণ একে একে লিখুন। এই সম্পদগুলোর সঠিক বিবরণ দিতে আপনার রেজিস্টার থেকে তথ্য নিন। যদি সম্পদগুলোর লিস্ট না থাকে, তবে একটি লিস্ট তৈরি করে নিন। এতে ভবিষ্যতে হিসাব করতে সুবিধা হবে। মোট পরিসম্পদ: মজুদ পণ্য, স্থায়ী সম্পদ এবং অন্যান্য সম্পদ যোগ করে আপনার ব্যবসার মোট পরিসম্পদের পরিমাণ নির্ধারণ করুন। এটি ১০ নম্বর ঘরে লিখুন। মূলধন এবং নিট মুনাফা: আপনার প্রারম্ভিক মূলধনের সাথে বছরের নিট মুনাফা যোগ করুন। এরপর যদি কোনো পরিমাণ উত্তোলন করে থাকেন, তবে সেটি বাদ দিয়ে সমাপনী মূলধন নির্ণয় করুন। এই সমাপনী মূলধনই আপনি পরবর্তী বছরে প্রারম্ভিক মূলধন হিসেবে ব্যবহার করবেন। দায়সমূহ: যদি কোনো ঋণ বা পাওনাদারের কাছে বকেয়া থাকে যা এখনো পরিশোধ করেননি, তাহলে সেটির পরিমাণ লিখুন। এরপর সমাপনী মূলধন এবং দায়সমূহ যোগ করে ১৬ নম্বর ঘরে লিখুন। লক্ষ্য করুন, ১০ এবং ১৬ নম্বর ঘরের অংকগুলো অবশ্যই মিলে যেতে হবে।পরিসম্পদ, দায় এবং ব্যয় বিবরণীপরিসম্পদ, দায় এবং ব্যয় বিবরণীতে ব্যবসার মোট পরিসম্পদ, দায় এবং মূলধনের তথ্য দিতে হবে। পরিশিষ্ট ৪-এ যেসব অংক উল্লেখ করেছেন, তা পরিসম্পদ, দায় এবং ব্যয় বিবরণীর ৮ নম্বর সিরিয়ালে বসবে।পরিসম্পদ, দায় এবং ব্যয় বিবরণী পূরণের প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে অনুচ্ছেদ ৫.৩ এবং সপ্তম অধ্যায় পড়ুন। এতে আপনাকে সাহায্য করবে কীভাবে সঠিকভাবে সম্পদের বিবরণ দিতে হবে।প্রাপ্তি স্বীকার পত্র:রিটার্ন দাখিলের পর আয়কর অফিস থেকে প্রাপ্তি স্বীকার পত্র প্রদান করা হবে। এটি আপনার রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এটি সংরক্ষণ করুন, কারণ এটি ভবিষ্যতে লোন, ভিসা বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহৃত হতে পারে। নিচে ফরমটি সংযোজন করা হলো: স্বাভাবিক_ব্যক্তি_করদাতার_রিটার্ন_আইটি-১১গ(২০২৩)Download রিটার্ন ফরম - Previous সকল ব্যক্তি করদাতার রিটার্ন ফরম Next - রিটার্ন ফরম রিটার্ন ফরম পূরণ