অন্যান্য ও বিশেষ আয় স্বামী/স্ত্রী বা অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানদের আয় কোথায় দেখাবেন? Estimated reading: 0 minutes 17 views Contributors করদাতার স্বামী/স্ত্রী বা অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের আলাদা টিআইএন (করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর) না থাকলে, তাদের আয় করদাতার আয়ের সঙ্গে একত্রে দেখাতে হয়। এই অংশে আমরা আলোচনা করব কীভাবে এবং কোথায় এই আয় প্রদর্শন করবেন, এবং এতে করদাতার করদায়ের উপর কী প্রভাব পড়বে।করদাতার স্ত্রীর আয় কর রিটার্নে দেখানোধরুন, আপনি একজন চাকরিজীবী করদাতা। আপনার বেতন থেকে প্রাপ্ত করযোগ্য আয় করমুক্ত সীমা অতিক্রম করেছে, তাই আপনাকে বাধ্যতামূলকভাবে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হয়। আপনার স্ত্রী একজন গৃহিণী এবং তার আয় করমুক্ত সীমা অতিক্রম করেনি, তাই তার আলাদা টিআইএন নেই।তবে যদি দেখা যায়, আপনার স্ত্রী প্রতিমাসে সঞ্চয় করে ব্যাংকে এফডিআর (স্থায়ী আমানত) করেছেন এবং সেখান থেকে সুদ পেয়েছেন, তাহলে সেই সুদের আয় আপনার করযোগ্য আয়ের সঙ্গে যোগ করতে হবে। কারণ, স্ত্রীর আলাদা টিআইএন না থাকায়, তার সমস্ত আয় আপনার আয়ের সঙ্গে গণ্য হবে।সম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণীতে স্ত্রীর সম্পদ দেখানোআয়কর রিটার্নের সঙ্গে যদি সম্পদ, দায় ও ব্যয় বিবরণী দাখিল বাধ্যতামূলক হয়, তাহলে সেখানে আপনার স্ত্রীর সম্পদের তথ্যও উল্লেখ করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ:স্বর্ণালংকার জমি গাড়ি অন্যান্য সম্পদএসব সম্পদের তথ্য বিবরণীতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের আয় দেখানোআপনার অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের নামে যদি কোনো আয় থাকে, যেমন:ব্যাংক সুদ উপহার বৃত্তিসেই আয়ও আপনার (বা আপনার স্ত্রীর) করযোগ্য আয়ের সঙ্গে যোগ করতে হবে। যদি উভয়েই করদাতা হন, তাহলে যেকোনো একজনের আয়ের সঙ্গে সন্তানের আয় যোগ করা যেতে পারে।করদাতার স্ত্রীর আলাদা টিআইএন থাকলেযদি আপনার স্ত্রীর আলাদা টিআইএন থাকে এবং তিনি স্বতন্ত্রভাবে রিটার্ন দাখিল করেন, তাহলে তার আয় আপনাকে দেখাতে হবে না। উদাহরণস্বরূপ:আপনার স্ত্রী যদি সঞ্চয়পত্রে ৫,০০,০০০ টাকার বেশি বিনিয়োগ করেন, তাহলে তার জন্য আলাদা টিআইএন থাকা বাধ্যতামূলক এবং রিটার্ন দাখিল করতে হবে। এ ক্ষেত্রে, তিনি তার আয় ও সম্পদ নিজেই রিটার্নে দেখাবেন।করদায় কমানোর উপায়আগে যদি স্ত্রীর আয় আপনার আয়ের সঙ্গে দেখাতেন এবং তা করমুক্ত সীমা অতিক্রম করত, তাহলে আপনার করের পরিমাণ বৃদ্ধি পেত। এখন যদি আপনার স্ত্রী আলাদা টিআইএন নিয়ে রিটার্ন দাখিল করেন এবং তার আয় করমুক্ত সীমার নিচে থাকে, তাহলে তাকে কর দিতে হবে না, শুধু রিটার্ন দাখিল করলেই হবে। এতে করে আপনার রিটার্নে স্ত্রীর আয় যোগ করতে হবে না, ফলে আপনার করদায় কমে যাবে।অর্থাৎ, স্ত্রী বা অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের আলাদা টিআইএন না থাকলে: তাদের আয় করদাতার আয়ের সঙ্গে দেখাতে হবে। স্ত্রীর আলাদা টিআইএন থাকলে: তিনি নিজে রিটার্ন দাখিল করবেন, তার আয় আপনার সঙ্গে দেখাতে হবে না। করদায় কমাতে: স্ত্রীর আলাদা টিআইএন নিয়ে রিটার্ন দাখিল করলে করদায় হ্রাস পেতে পারে।কর রিটার্নে সঠিক তথ্য প্রদর্শনের গুরুত্বকর আইন অনুযায়ী সঠিকভাবে আয় ও সম্পদের তথ্য প্রদর্শন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভুল বা অসম্পূর্ণ তথ্য প্রদান করলে আইনগত জটিলতা হতে পারে। তাই কর রিটার্ন প্রস্তুতের সময় কর বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিতে পারেন।অতিরিক্ত টিপসরেকর্ড সংরক্ষণ করুন: সমস্ত আর্থিক লেনদেনের প্রমাণপত্র সংগ্রহে রাখুন। নিয়মিত আপডেট থাকুন: কর আইন সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হতে পারে, তাই আপডেট থাকুন। অনলাইন রিটার্ন দাখিল: সম্ভব হলে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করুন, এটি সহজ এবং সময় সাশ্রয়ী। অন্যান্য ও বিশেষ আয় - Previous বিদেশ থেকে অর্জিত আয় Next - অন্যান্য ও বিশেষ আয় অন্যান্য উৎস থেকে আয় আয়কর রিটার্নে দেখাবেন কিভাবে?