কর সমন্বয় ও কর জমা সময় বৃদ্ধির আবেদন করতে হবে কি? Estimated reading: 0 minutes 9 views Contributors আয়কর আইন ২০২৩ অনুসারে, যদি কোনো ব্যক্তি করদাতা নির্ধারিত আয়কর দিবসের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করতে ব্যর্থ হন, তবে তাকে আর সময় বৃদ্ধির জন্য আবেদন করার প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ, আগের মতো উপকর কমিশনার বরাবর বারবার ছাপানো ফরমে আবেদন করার ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া গেছে।এখন প্রশ্ন আসে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করতে না পারলে পরে কীভাবে তা দাখিল করবেন?উত্তর হলো, আপনি এখন থেকে বছরের যেকোনো সময় রিটার্ন দাখিল করতে পারেন। তবে এজন্য আপনাকে বিলম্ব সুদ হিসেবে ২% হার প্রযোজ্য হবে। ভগ্নাংশ মাসের ক্ষেত্রেও পুরো মাসের সুদ গণনা করতে হবে, যা আগের অনুচ্ছেদে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।তবে সবচেয়ে বড় অসুবিধা হলো, আপনি কর রেয়াত সুবিধা আর ভোগ করতে পারবেন না। অর্থাৎ, বিনিয়োগ বা দানের ওপর যে কর রেয়াত সাধারণত করদায় থেকে বাদ দেওয়া যায়, তা আপনি দাবী করতে পারবেন না। ফলে, আপনাকে আপনার মোট করদায় পরিশোধ করতে হবে এবং সেই মোট করদায়ের ওপর ২% বিলম্ব সুদ প্রযোজ্য হবে।এখানে প্রশ্ন আসতে পারে, যদি উৎসে কর এবং অগ্রিম কর ইতোমধ্যে পরিশোধ করা হয়ে থাকে, তাহলে কি তা মোট করদায় থেকে বাদ যাবে?উত্তর হলো, হ্যাঁ। উৎসে কর এবং অগ্রিম কর বাদ দিয়ে যে নিট করদায় থাকবে, তার ওপর ২% বিলম্ব সুদ দিতে হবে।এই বিষয়গুলো আগেও এই বইতে আলোচনা করা হয়েছে, তবে পুনরায় এখানে উল্লেখ করা হলো যেন আপনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দাখিল না করলে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন না হন। বিলম্ব সুদ কীভাবে সঠিকভাবে গণনা করবেন তা ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করুন এবং যথাযথভাবে প্রয়োগ করুন। কর সমন্বয় ও কর জমা - Previous নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দাখিল না করলে কী হয়? Next - কর সমন্বয় ও কর জমা বিলম্ব সুদ গণনা ও এর প্রভাব