ট্যাক্স বাঁচানোর কৌশল বিনিয়োগের মাধ্যমে কর রেয়াত Estimated reading: 1 minute 20 views Contributors সঠিকভাবে বিনিয়োগ করলে আপনি শুধু করের পরিমাণ কমাতে পারবেন না, বরং আপনার আর্থিক লক্ষ্য এবং স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পারবেন।আপনার করদায় হ্রাস এবং ভবিষ্যৎ আর্থিক সুরক্ষার জন্য উপযুক্ত বিনিয়োগ খাত বাছাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিনিয়োগের সময় সঠিক তথ্য ও পরামর্শ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিন, যাতে আপনি সর্বোচ্চ কর সুবিধা এবং মুনাফা পেতে পারেন। আয়কর আইন ২০২৩ অনুযায়ী কিছু নির্দিষ্ট খাতে বিনিয়োগ করলে কর রেয়াত পাওয়া যায়। নিচে বিনিয়োগের উল্লেখযোগ্য ক্ষেত্রসমূহের তালিকা দেওয়া হলো:পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত যেকোনো শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড বা ডিবেঞ্চারে বিনিয়োগ করা হলো একটি উপযুক্ত পদক্ষেপ, যা দীর্ঘমেয়াদে উচ্চ মুনাফা এবং ট্যাক্স নিরসনের সুযোগ প্রদান করে। এটি উচ্চ ঝুঁকি এবং উচ্চ রিটার্ন উভয়ই সরবরাহ করতে পারে। সরকারি সিকিউরিটিজ: বাংলাদেশ সরকারের ইস্যুকৃত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করলে কর রেয়াত পাওয়া যায়। সর্বোচ্চ ৫,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত এই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কর রেয়াত প্রযোজ্য। ডিপিএস: সিডিউল ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ডিপিএস (দৈনিক সঞ্চয় পত্র) একটি দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ ব্যবস্থা যা আপনাকে কর রেয়াত দেয়ার পাশাপাশি সঞ্চয় বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। সর্বোচ্চ বাৎসরিক ১,২০,০০০ টাকা পর্যন্ত কর রেয়াত পাওয়া যায়। জীবন বীমা প্রিমিয়াম: জীবন বীমা প্রিমিয়াম প্রদান করলেও কর রেয়াতের সুবিধা পাওয়া যায়। বাৎসরিক মোট বীমাকৃত অংকের সর্বোচ্চ ১০% পর্যন্ত কর রেয়াত প্রযোজ্য। এটি আপনার পরিবারের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক। স্বীকৃত প্রভিডেন্ট ফান্ড: স্বীকৃত প্রভিডেন্ট ফান্ডে অবদান রাখলে তা কর রেয়াতের আওতায় পড়ে। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ব্যবস্থা যা অবসরকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। সর্বজনীন পেনশন স্কিম: সর্বজনীন পেনশন স্কিমে যেকোনো পরিমাণ চাঁদা দিলে কর রেয়াত পাওয়া যায়। এটি অবসরকালীন আর্থিক সুরক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। কল্যাণ তহবিল ও গোষ্ঠী বীমা তহবিল: এই তহবিলগুলোতে অবদান রাখলে কর্মচারীদের কল্যাণ এবং ভবিষ্যতের জন্য একটি সুরক্ষিত ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হয়। কর রেয়াতের সুবিধাও এই খাতগুলোতে বিনিয়োগের মাধ্যমে পাওয়া যায়। সঠিক খাতে বিনিয়োগ না করলে তা বিনিয়োগ ভাতা হিসেবে গণ্য হবে না এবং কর রেয়াতের সুবিধা পাওয়া সম্ভব হবে না। তাই বিনিয়োগ করার আগে সঠিক পরিকল্পনা এবং যাচাই-বাছাই করা অত্যন্ত জরুরি। উপরে উল্লিখিত খাতগুলোতে বিনিয়োগের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ কর রেয়াত সুবিধা পেতে পারেন।নোট: উপরে উল্লেখিত বিনিয়োগের পাশাপাশি, আপনি নির্দিষ্ট খাতে দান করেও কর রেয়াত পেতে পারেন। কর রেয়াত পাওয়ার জন্য আয়কর আইনে স্বীকৃত দাতব্য প্রতিষ্ঠান বা খাতে দান করতে হবে। Next - ট্যাক্স বাঁচানোর কৌশল দানের মাধ্যমে কর রেয়াত