ট্যাক্স রিটার্নের প্রয়োজনীয়তা ও ভূমিকা করযোগ্য আয়, করমুক্ত আয় এবং করহার Estimated reading: 1 minute 27 views Contributors আমরা আগেই জেনেছি যে, একজন ব্যক্তির করযোগ্য আয় করমুক্ত সীমা অতিক্রম করলেই তাকে রিটার্ন দাখিল করতে হয়।। করযোগ্য আয় হলো একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মোট আয়ের সেই অংশ যা কর কর্তৃপক্ষ দ্বারা নির্ধারিত কর প্রদানের উপযুক্ত সীমা। করযোগ্য আয়ের মধ্যে সাধারণত বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত আয় যেমন চাকরি, ব্যবসা, সম্পত্তি ইত্যাদি থেকে উপার্জিত আয় অন্তর্ভুক্ত থাকে। নিচের ছকে দেখে নিন কোন করদাতার জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা কত নির্ধারিত –ক্র. নংকরদাতার বিবরণকরমুক্ত সীমা (টাকা)০১.সাধারণ পুরুষ করদাতা (৬৫ বছরের কম)৩,৫০,০০০০২.মহিলা ও ৬৫ বছরের বেশি প্রবীণ করদাতা৪,০০,০০০০৩.প্রতিবন্ধী বা তৃতীয় লিঙ্গের করদাতা৪,৭৫,০০০০৪.গ্যাজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতা৫,০০,০০উপরে উল্লিখিত সীমার বেশি হলে সেই আয় করযোগ্য হিসেবে গণ্য হয় । তবে করদাতার যদি এক বা একাধিক প্রতিবন্ধী সন্তান বা পোষ্য থাকে তবে প্রত্যেক প্রতিবন্ধী সন্তান বা পোষ্যের জন্য ঐ করদাতার করসীমা নির্ধারিত করসীমার চেয়ে ৫০,০০০ টাকা বেশি হবে। উদাহরনস্বরূপ, একজন সাধারণ পুরুষ করদাতার করমুক্ত সীমা ৩,৫০,০০০ টাকা। কিন্তু, তাঁর যদি একটি প্রতিবন্ধী সন্তান থাকে তবে করমুক্ত সীমা হবে (৩,৫০,০০০+৫০,০০০)= ৪,০০,০০০ টাকা। দুজন প্রতিবন্ধী সন্তানো ক্ষেত্রে (৩,৫০,০০০+৫০,০০০+৫০,০০০)= ৪,০০,০০০ টাকা। উপরের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে করযোগ্য আয় নির্ণয় করা হয় এবং সেটির উপর নির্ভর করে কর হার প্রযোজ্য হয়। করের হারটি সাধারণত নিম্নোক্তভাবে নির্ধারিত হয়:প্রথম ৩,৫০,০০০/৪,০০,০০০/৪,৭৫,০০০/৪,৫০,০০০ টাকা (যে ক্ষেত্রে প্রযোজ্য): কর মুক্ত পরবর্তী ১,০০,০০০ টাকা– ১০% পরবর্তী ৩,০০,০০০ টাকা– ১৫% পরবর্তী ৪,০০,০০০ টাকা– ২০% পরবর্তী ৫,০০,০০০ টাকা– ২৫% অতিরিক্ত পরিমাণ– ৩০%এই হারগুলো ব্যক্তিগত আয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য এবং আয় বৃদ্ধির সাথে সাথে করের হারও বাড়তে থাকে। উল্লেখ্য, ব্যবসায় বা পেশাগত আয় থেকে প্রাপ্ত আয়ের ক্ষেত্রে পৃথক হার প্রযোজ্য হতে পারে। এ বিষয়ে আমরা “করদায় নির্ণয় প্রক্রিয়া” অধ্যায়ে বিশদ আলোচনা করেছি। ট্যাক্স রিটার্নের প্রয়োজনীয়তা ও ভূমিকা - Previous কাদের জন্য রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক? Next - ট্যাক্স রিটার্নের প্রয়োজনীয়তা ও ভূমিকা রিটার্ন দাখিলের প্রয়োজনীয় দলিলপত্র