Comment

রিটার্ন দাখিল কোথায় করবেন?

কখন রিটার্ন দাখিল করবেন?

Estimated reading: 1 minute 12 views Contributors

প্রতিবছর ব্যক্তিগত করদাতাদের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিল করা একটি বাধ্যতামূলক কাজ। তবে অনেকেই জানেন না কখন রিটার্ন দাখিল করতে হবে এবং কীভাবে প্রক্রিয়াটি সহজ ও ঝামেলাহীন করা যায়।

ব্যক্তি শ্রেণীর করদাতাদের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষদিন হলো ৩০ নভেম্বর। এই দিনটি বাংলাদেশে “আয়কর দিবস” হিসেবে পালিত হয়।

রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা

আয়বর্ষ ও করবর্ষ

  • আয়বর্ষ: প্রতি বছর জুলাই থেকে জুন পর্যন্ত সময়কে আয়বর্ষ বলা হয়।
  • করবর্ষ: আয়বর্ষের পরবর্তী বছরটি করবর্ষ হিসেবে গণ্য হয়।

কখন থেকে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন?

  • ১ জুলাই থেকে আপনার নিজ ট্যাক্স সার্কেলে উপস্থিত হয়ে রিটার্ন দাখিল করতে পারেন।
  • আয়কর মেলা বা নভেম্বর মাসের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না
  • রিটার্ন প্রস্তুত থাকলে ১ জুলাই এর পর যে কোনো দিন দাখিল করতে পারেন।

শেষ মুহূর্তে রিটার্ন দাখিলের ঝুঁকি

  • ভুলের আশঙ্কা: শেষ মুহূর্তে তাড়াহুড়া করতে গিয়ে রিটার্নে ভুল হতে পারে।
  • জরিমানা ও জটিলতা: সময়সীমা মিস করলে জরিমানা বা আইনি জটিলতা হতে পারে।
  • প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহের সময় কমে যায়।

পরামর্শ: শেষ সময়ের জন্য অপেক্ষা না করে জুলাই মাস থেকেই রিটার্ন প্রস্তুতির কাজ শুরু করুন। যদিও প্রথম অধ্যায়ে রিটার্ন প্রস্তুতির ধাপসমূহ দেয়া আছে, তবুও আরও একবার মনে করিয়ে দিচ্ছি।

রিটার্ন প্রস্তুতির ধাপসমূহ

১. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ

  • টিআইএন সার্টিফিকেট
  • আয়-ব্যয়ের বিবরণী
  • বেতন স্লিপ বা আয়ের প্রমাণপত্র
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট
  • বিনিয়োগের প্রমাণপত্র
  • সম্পদ ও দায়ের বিবরণী
  • আগের বছরের রিটার্ন কপি

২. ট্যাক্স ক্যালকুলেশন

  • আয় ও ব্যয়ের হিসাব করুন।
  • করমুক্ত আয়ের সীমা ও করহার বিবেচনা করুন।
  • বিনিয়োগ ও দানের উপর কর রেয়াত গণনা করুন।

৩. জটিল লেনদেনের ক্ষেত্রে করণীয়

  • নতুন বিনিয়োগ: নতুন কোনো বিনিয়োগ করে থাকলে তার প্রমাণপত্র সংগ্রহ করুন।
  • সম্পদ ক্রয়-বিক্রয়: জমি, ফ্ল্যাট ইত্যাদি ক্রয়-বিক্রয় করলে তার দলিল ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংরক্ষণ করুন।
  • জটিল লেনদেন: যদি কোনো জটিল লেনদেন করে থাকেন, তাহলে প্রয়োজনে কর বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা

রিটার্নের সঙ্গে আপনাকে কিছু দরকারি কাগজপত্র জমা দিতে হবে। এগুলো হল:

  1. রিটার্ন ফরম পূরণকৃত কপি
  2. আয়-ব্যয়ের বিবরণী
  3. বিনিয়োগের প্রমাণপত্র (যদি থাকে)
  4. ব্যাংক স্টেটমেন্ট
  5. ট্যাক্স পরিশোধের চালান কপি
  6. সম্পদ ও দায়ের বিবরণী
  7. পূর্ববর্তী রিটার্নের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)

উপরে উল্লেখিত ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপনার ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করলে সম্ভাব্য কর রেয়াত পেতে পারেন।


Leave a Comment

Share this Doc

কখন রিটার্ন দাখিল করবেন?

Or copy link

CONTENTS

Subscribe

×
Cancel