ওয়ার্ডপ্রেস পরিচিতি এক নজরে ওয়ার্ডপ্রেস Estimated reading: 1 minute 27 views Contributors সারাংশ: এই অধ্যায়ে আমরা ওয়ার্ডপ্রেসের ইতিহাস, বৈশিষ্ট্য, ব্যবহার, সুবিধা, অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করবো। ওয়ার্ডপ্রেসের ইতিহাসওয়ার্ডপ্রেসের ইতিহাস শুরু হয় ২০০১ সালে। যখন দু’জন ডেভেলপার ম্যাট মুলেনওয়েগ এবং মাইক লিটল b2/cafelog নামে একটি ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে। প্ল্যাটফর্মটি ওপেন সোর্স ছিল, যার ফলে যে কেউ এর ডেভেলপমেন্ট এ অবদান রাখতে পারত। এটি PHP এবং MySQL ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছিল। ২০০৩ সালে মুলেনওয়েগ এবং লিটল b2/cafelog- এর একটি নতুন ভার্সন তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয়, যা ব্যবহার করা সহজ এবং আরও উন্নত বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তারা এই নতুন প্ল্যাটফর্মটির নাম দেন WordPress। ২০০৪ সালে ওয়ার্ডপ্রেস ১.০ (“Miles”) চালু হয়। এই ভার্সনটিতে প্লাগিন আর্কিটেকচার সহকারে কয়েকটি নতুন ফিচার চালু করা হয়। ২০০৪ সালে ওয়ার্ডপ্রেস ১.২ (“Mingus”) চালু হয়। এই ভার্সনটিতে আরো কিছু নতুন ফিচার যোগ করা হয়। ২০০৫ সালে ওয়ার্ডপ্রেস ১.৫ (“Strayhorn”) চালু হয়। এই ভার্সনটিতে পেজ, কমেন্ট মডারেশন এবং কুব্রিক থিমের মতো ফিচার চালু করা হয়। ২০০৫ সালে ওয়ার্ডপ্রেস ২.০ (“Duke”) চালু হয়। এই ভার্সনটিতে একটি WYSIWYG এডিটর চালু করা হয়, যা ইউজারদের HTML জানা ছাড়াই কন্টেন্ট তৈরি করা সহজ করে। ২০১০ সালে ম্যাট মুলেনওয়েগ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি Automattic, ওয়ার্ডপ্রেস ট্রেডমার্ক এবং লোগোর মালিকানা ওয়ার্ডপ্রেস ফাউন্ডেশনে স্থানান্তর করে নিশ্চিত করেন যে ওয়ার্ডপ্রেস একটি ওপেন-সোর্স প্রকল্প হিসাবে থাকবে। এটি কোনও কোম্পানি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে না। ২০১০ সালে ওয়ার্ডপ্রেস ৩.০ (“Thelonious”) চালু হয়। এই ভার্সনটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক ছিল কারণ এটি কাস্টম পোস্ট টাইপ চালু করে, যা ইউজারদের কেবল ব্লগ পোস্ট ছাড়াও বিভিন্ন ধরণের কন্টেন্ট তৈরি করতে দেয়। ২০১৩ সালে ওয়ার্ডপ্রেস ৩.৮ (“Parker”) চালু হয়। এই সংস্করণটি একটি নতুন অ্যাডমিন ইন্টারফেস চালু করেছে যা আরও বেশি ইউজার-ফ্রেন্ডলি ছিল। ২০১৬ সালে ওয়ার্ডপ্রেস ৪.৭ (“Vaughan”) চালু হয়। এই ভার্সনটিতে একটি নতুন ব্লক এডিটর চালু করেছে, যা ইউজারদের কোড লেখা ছাড়াই কন্টেন্ট তৈরি করা সহজ করে। ২০২০ সালে ওয়ার্ডপ্রেস ৫.৪ (“Adderley”) চালু হয়। এই সংস্করণটি একটি নতুন ব্লক-ভিত্তিক থিম সিস্টেম চালু করেছে, যা ইউজারদের কাস্টম থিম তৈরি করা সহজ করে। ২০২৩ সালে ওয়ার্ডপ্রেস ৬.১ (“Misha”) চালু হয়। এই ভার্সনটিতে ব্লক এডিটরের উন্নতি এবং একটি নতুন টুয়েন্টি টুয়েন্টি-থ্রি থিম সহ কয়েকটি নতুন ফিচার চালু করা হয়েছে।ওয়ার্ডপ্রেসের বৈশিষ্ট্যওয়ার্ডপ্রেসের অনেকগুলি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা এটিকে একটি শক্তিশালী এবং বহুমুখী CMS করে তোলে। যেমনঃওপেন সোর্স: ওয়ার্ডপ্রেস একটি ওপেন সোর্স সফটওয়্যার, যার ফলে যে কেউ এটি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার, বিতরণ এবং প্রয়োজনে পরিবর্তন করতে পারবে। ব্যবহার করা সহজ: ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করা তুলনামূলকভাবে সহজ। এটি ইউজারদের জন্য সহজ ইন্টারফেস রয়েছে যা নতুনরাও ব্যবহার করতে পারে। বিস্তৃত বৈশিষ্ট্য: ওয়ার্ডপ্রেসে অনেকগুলি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ওয়েবসাইট তৈরি এবং সেটা ম্যানেজ করাকে সহজ করে তোলে। এর মধ্যে রয়েছে ব্লগিং, পেজ তৈরি, মেনু ব্যবস্থাপনা, ইউজার ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি। অসংখ্য থিম এবং প্লাগইন: ওয়ার্ডপ্রেসে অসংখ্য থিম এবং প্লাগইন রয়েছে যা দিয়ে ওয়েবসাইটের ডিজাইন এবং কার্যকারিতা পরিবর্তন করা যায়।ওয়ার্ডপ্রেসের ব্যবহারওয়ার্ডপ্রেস বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় CMS এর মধ্যে একটি। এটি বিভিন্ন ধরণের ওয়েবসাইট তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। যেমনঃব্লগ: ওয়ার্ডপ্রেস একটি জনপ্রিয় ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম। এটি ব্যবহার করে যেকোন ধরনের ব্লগ তৈরি করা যায়। যেমনঃ পার্সোনাল ব্লগ, ব্যবসায়িক ব্লগ ইত্যাদি। কোম্পানি ওয়েবসাইট: ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে যেকোন ধরনের কোম্পানি ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। যেমনঃ ইন্ট্রারকর্পোরেট ওয়েবসাইট, ই-কমার্স ওয়েবসাইট ইত্যাদি। ই-কমার্স ওয়েবসাইট: ওয়ার্ডপ্রেস একটি জনপ্রিয় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম। এটি ব্যবহার করে যেকোন ধরনের ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। ফোরাম: ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের ফোরাম তৈরি করা যায়। যেমনঃ ইউজার ফোরাম, সাপোর্ট ফোরাম ইত্যাদি। আরও জানতেওয়ার্ডপ্রেসের সুবিধাএটি একটি ওপেন সোর্স প্ল্যাটফর্ম। CSS ফাইলগুলি ইউজারদের প্রয়োজন অনুযায়ী ডিজাইনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সংশোধন করা যায়। অনেক প্লাগিন এবং টেমপ্লেট বিনামূল্যে পাওয়া যায়। ইউজাররা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন প্লাগিন কাস্টোমাইজ করতে পারে। WYSIWYG এডিটর (What You See Is What You Get) ব্যবহার করে কন্টেন্ট এডিটিং করা খুব সহজ কারণ এটি ব্যবহারকারীকে লেয়াউট কমান্ড ছাড়াই ডকুমেন্টের লেয়াউট সরাসরি ম্যানিপুলেট করতে দেয়। মিডিয়া ফাইলগুলি সহজেই এবং দ্রুত আপলোড করা যায়। এটি একাধিক SEO টুলস সরবরাহ করে যা অন-সাইট SEO সহজ করে তোলে। ইউজারদের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী কাস্টোমাইজেশন করা সহজ। এটি ওয়েবসাইটে Admin, Author, Editor এবং Contributor’s এর মতো ইউজার রোল তৈরি করতে দেয়।ওয়ার্ডপ্রেসের কিছু অসুবিধাঅনেক প্লাগিন ব্যবহার করার কারনে ওয়েবসাইটটি লোড হতে সময় লাগতে পারে এবং স্লো হয়ে যেতে পারে। ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটে সংশোধন বা পরিবর্তন করার জন্য PHP জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। বর্তমান ব্রাউজার এবং মোবাইল ডিভাইসের সাথে WordPress আপ-টু-ডেট রাখতে কখনও কখনও সফ্টওয়্যার আপডেট করতে হয়। ওয়ার্ডপ্রেস ভার্সন আপডেট করলে ডেটা হারিয়ে যেতে পারে, তাই ওয়েবসাইটের একটি ব্যাকআপ কপি প্রয়োজন। গ্রাফিক ইমেজ এবং টেবিল সংশোধন এবং ফরম্যাটিং করা কঠিন। ওয়ার্ডপ্রেস পরিচিতি - Previous ওয়ার্ডপ্রেস কী?